লিয়াকত হোসেন লিংকন: সম্মেলনের দুই বছর পার হলেও এখনও কাশিয়ানী উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি। এক বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে কাশিয়ানী উপজেলা ছাত্রলীগের দলীয় কার্যক্রমে স্থবিরতা বিরাজ করছে। কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। ব্যর্থতার জন্য জেলা কমিটির দুই নেতাকে দায়ী করছেন নেতাকর্মীরা। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পেতে এক সময় অনেকে দৌড়ঝাঁপ করলেও এখন তারা ঝিমিয়ে পড়েছেন। অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবি জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মো. আজাদ হোসেন মৃধাকে সভাপতি এবং মাসুম শেখকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ দু’বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় ভেঙে পড়ছে ছাত্রলীগের চেইন অব কমান্ড। ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দলীয় কর্মসূচী পালনে নেতাকর্মীদের কর্মচাঞ্চল্য কমে যাচ্ছে। আদৌ কাশিয়ানী উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে কি না জানেন না ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। এ কারণে অনেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।
মেহেদী হাসান নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কমিটিতে একটি পদ পাওয়ার জন্য ছাত্রলীগের সাথে কাজ করছি। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছি। কিন্তু আজও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না করায় হতাশ হয়ে পড়েছি। এখন আর ছাত্রলীগের কোন কাজে যেতে ভাল লাগে না।’
কাশিয়ানী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আজাদ হোসেন মৃধা বলেন, ‘আমরা একাধিকবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেয়ার জন্য জেলা কমিটিকে তাগিদ দিলেও তা তারা বাস্তবায়িত করতে পারেননি। যার কারণে ছাত্রলীগের দলীয় কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।’
সাধারণ সম্পাদক মাসুম শেখ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অন্যতম ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। দীর্ঘদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় সাধারণ কর্মীদের মাঝে হতাশা বাড়ছে এবং কমে যাচ্ছে কর্মচাঞ্চল্যতা।’
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘কাশিয়ানী উপজেলা দু’জন সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকা। যার কারণে গঠনতন্ত্রের অতিরিক্ত সদস্য হওয়ায় কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে জাতীয় সম্মেলনের পরপরই সাংসদদের পরামর্শে বর্ধিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।’